পিতা মাতা বা পরিবারের কেউ মারা গেলে নিরামিষ খেতে হয় কেন তা তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হবে আজকের ব্লগে। পরিবারের কেউ মারা গেলে ১৩ দিন নিরামিষ আহার করা হিন্দু ধর্মের অবশ্যই পালনীয় কর্তব্যগুলোর ভিতরে একটি।
যদিও আজকাল এই নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন দেখা যায়। যেমন, অশৌচ পালন না করলে কি হয়, শ্রাদ্ধ না করলে কি হয়, হিন্দু পিতা মাতার মৃত্যুর পর সন্তানের করনীয় কি ইত্যাদি। আজ এই ব্লগে এই সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
গরুড় পুরানে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। গরুর পুরান মতে, একটি ব্যক্তির মৃত্যুর পর ১৩ দিন পর্যন্ত তার আত্মহত্যা নিজ বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেন। সে সময় উক্ত ব্যক্তির আত্মা খুবই দুঃখী অবস্থায় থাকে।
মৃত ব্যক্তি পরিবারের কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারে না। সে তার ব্যবহার করা কোন জিনিসপত্রই ব্যবহার করতে পারে না। সে ব্যক্তি তার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারে না।
এই অবস্থায় ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্য যদি আনন্দ প্রমোদ করে বা মাছ মাংস খাওয়া দাওয়া করে তবে মৃত ব্যক্তির আত্মার দুঃখ আরও বেশি বেড়ে যায়। আর এই কারণেই অনেকদিন পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করা হয়।
মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য এই কয়েকদিন নিরামিষ খাওয়া হয়। মাত্র কয়েকদিন পরে আত্মা পৃথিবী থেকে সারা জীবনের জন্য পরলোকে গমন করবে। তাই এই কয়টা দিন বৈরাগ্যের মতো জীবন যাপন করা হয়। যাতে আত্মা সকল প্রকার মোহ মায়া ত্যাগ করে শান্তিতে গমন করতে পারে।
হিন্দু ধর্মের আমিষ খাবার কে অশুভ বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য আত্মার যাতে শুভ গতি হয় এই কারণেই অশুভ খাবার ত্যাগ করে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন